গিয়াসউদ্দিন ইসলামিক মডেল স্কুল

Giasuddin Islamic Model School

EIIN: 131337, Institute Code: 2616, Mobile: 01309131337

 
Apply Now

GIMS Prospectus


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম 

ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা ও উদ্দেশ্য

 

প্রতিষ্ঠাকাল:

বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন একটি অরাজনৈতিক সেবামমূলক প্রতিষ্ঠান এর জন্য তাঁর শ্রদ্ধেয় পিতা-মাতার নামে ২৭ রমজান, ১৪২৪ হিজরি, ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪১০ বঙ্গাব্দ, ২২ নভেম্বর ২০০৩ খ্রি. শনিবার প্রতিষ্ঠা করেন “এম.এ. হাসেম-ইয়াতুননেছা ফাউন্ডেশন”। এ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণরূপে বেসরকারিভাবে পরিচালনা করে যাচ্ছেন। ফাউন্ডেশনের কার্যপরিধি সমগ্র নারায়ণগঞ্জ জেলা ব্যাপী বিস্তৃত।

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য:

১। সিদ্ধিরগঞ্জ এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকার শিক্ষার্থীদের জন্য যুগোপযোগী, মানসম্পন্ন এবং স্বাতন্ত্র্য বৈশিষ্ট্যের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা।
২। শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্রষ্টার প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস, অবিচল আস্থা এবং স্বচ্ছ আকীদা সৃষ্টির মাধ্যমে নিষ্কলুষ চরিত্র গঠনের প্রেরণা দান করে ইহকাল এবং পরকালের কল্যাণের শিক্ষায় শিক্ষিত করে দেশ এবং জাতির নিঃস্বার্থ সেবায় আত্মনিয়োগকারী হিসেবে গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে মহান আল্লাহ্পাকের সন্তুষ্টি অর্জন করা।
৩। উন্নত গবেষণামূলক ও উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার লক্ষ্যে “গিয়াসউদ্দিন ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়” এবং দক্ষ ও প্রশিক্ষিত চিকিৎসক তৈরির মাধ্যমে আপামর জনসাধারণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে “গিয়াসউদ্দিন ইসলামিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল” প্রতিষ্ঠা করা।

 

ফাউন্ডেশনের পরিচালকবৃন্দ

ক্রমিক নং                                 নাম               পদবী           
০১ বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন চেয়ারম্যান
০২ রেশমা বেগম ভাইস চেয়ারম্যান
০৩ জি.এম. ফয়সাল সদস্য
০৪ জি.এম. সাদরিল সদস্য
০৫ জি.এম. কায়সার সদস্য
০৬ জি.এম. সানভীর সদস্য

 

এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট বোর্ড
এম.এ. হাসেম ইয়াতুন নেছা ফাউন্ডেশন

সরাসরি পরিচালিত বিদ্যালয়সমূহ:

 

গিয়াসউদ্দিন ইসলামিক মডেল স্কুল, হিরাঝিল
EIIN 131337, Code : 2616
চিটাগাংরোড (দক্ষিণ), হিরাঝিল, সড়ক নম্বর # ২, সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ। মোবাইল: ০১৩০৯-১৩১৩৩৭, ০১৮১৮-১১৫৬০৩
Web: gims.edu.bd, E-mail: gims.edu.bd@gmail.com
বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াসউদ্দিন ইসলামিক গার্লস স্কুল, হিরাঝিল
EMIS Code : 311010149
চিটাগাংরোড (দক্ষিণ), হিরাঝিল, সড়ক নম্বর # ২, সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ।
মোবাইল: ০১৭৬৮-২২5122, E-mail: bmgigs2020@gmail.com
বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াসউদ্দিন ইসলামিক মডেল স্কুল, সিদ্ধিরগঞ্জ
EMIS Code: 311010506
সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ । মোবাইল: ০১৯৬৫৯৮৯৫০৫, E-mail: bmgims2015@gmail.com
বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াসউদ্দিন ইসলামিক সিটি স্কুল, মিজমিজি
EMIS Code : 311010147
মৌচাক মদিনা মসজিদ রোড, মিজমিজি কান্দাপাড়া, ওয়ার্ড নং-০২, থানা: সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন। মোবাইল: ০১৪০৫-৯৭৯৫০১, ০১৫৭৬-424150 E-mail: fgics2020@gmail.com Website: www.bmgics.com
দেলপাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াসউদ্দিন ইসলামিক মডেল স্কুল
School Code : 463621, EMIS Code : 00311011649
দেলপাড়া, ৪নং ওয়ার্ড, কুতুবপুর, ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ। মোবাইল: ০১৭৭১-৮৮৫৫২৫, ০১৭৭২-৬৬৬৭৩৮ E-mail: dbmgims2022@gmail.com


স্কুল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য:
১। মহান আল্লাহ্পাক আমাদের যে শিক্ষা লাভ করার এবং তা অন্যান্যদের মাঝে বিস্তার করার সামর্থ্য দান করেছেন তা যথাযথভাবে কাজে লাগিয়ে স্বাতন্ত্র্য বৈশিষ্ট্যের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা।
২। সিদ্ধিরগঞ্জ, ফতুল্লা এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকার ছাত্রছাত্রীদের একটি মানসম্পন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান উপহার দেওয়া।
৩। ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে স্রষ্টার প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস, অবিচল আস্থা এবং স্বচ্ছ আকীদা সৃষ্টির মাধ্যমে নিষ্কলুষ চরিত্র গঠনের প্রেরণা দান করে ইহকাল এবং পরকালের কল্যাণের শিক্ষায় শিক্ষিত করে দেশ এবং জাতির নিঃস্বার্থ সেবায় আত্মনিয়োগকারী হিসেবে গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে মহান আল্লাহ্পাকের সন্তুষ্টি অর্জন করাই আমাদের মূল লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য।
 

“হে ঈমানদারগণ! ধৈর্য ও নামাযের দ্বারা তোমরা সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন”। (সূরা বাকারা, আয়াত: ১৫৩)।

 

                                                                       

 

সকল প্রশংসার মালিক মহান আল্লাহ তায়ালা। আমার পিতা-মাতার নামে প্রতিষ্ঠিত এম এ হাসেম ইয়াতুন্নেসা ফাউন্ডেশন পরিচালিত গিয়াসউদ্দিন ইসলামিক মডেল কলেজ এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা । আমি মহান আল্লাহ তায়ালার নিকট অনেক অনেক শুকরিয়া আদায় করছি যে তাঁর অসীম অনুগ্রহ এবং দয়ায়  20১0 সালে কলেজ প্রতিষ্ঠা করে প্রায় বারো বছর পার করে ফেলেছি.। এই সময়ে যারা  সম্মানিত অভিভাবক তাদের প্রিয় সন্তান ভর্তি  করিয়ে কলেজ পরিচালনায় সহযোগিতা করেছেন তাদের  প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। এই কলেজ থেকে যারা অধ্যায়ন করে এখন উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে রয়েছে সেই সকল ছাত্র-ছাত্রীদেরকেও আমার এবং আমার প্রিয় কর্মীদের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানাই এবং তাদের উত্তোরত্তর মঙ্গল কামনা করছি। ১১ বছরের মধ্যে আমাদের এই  কলেজের যে  অগ্রযাত্রা এই  অগ্রযাত্রায় নারায়ণগঞ্জ জেলা  এবং আশেপাশের এলাকার মধ্যে উল্লেখ করার মতো। আমার প্রিয় শিক্ষকবৃন্দ অত্যন্ত দক্ষতার সাথে আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদান করে থাকেন  এবং মনোযোগী হওয়ার জন্য উৎসাহ প্রদান করে থাকেন এবং আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরাও ভর্তি হওয়ার পর এই কলেজে অল্প সময়ের মধ্যে উপলব্ধি করতে পারে  যে  এই কলেজ পড়ালেখা করার জন্য।এই কলেজ ছাত্র-ছাত্রীদের মানবিক গুণাবলী উৎকর্ষ সাধন করার জন্য। এই  কলেজ যোগ্য নাগরিক হওয়ার জন্য। এই কলেজ দেশের প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে শিক্ষাজীবন শেষ করে দেশ এবং মানুষের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করার জন্য। যার কারণে উত্তরোত্তর আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের সচেতনতা বৃদ্ধিসহ তাদের ফলাফল প্রতিবছর ভালো দিকে  যাচ্ছে। আমাদের কলেজের প্রতি এখন আশেপাশের সম্মানিত অভিভাবকবৃন্দ আস্থাশীল।  ছাত্র-ছাত্রী ছাত্র-ছাত্রীরাও আস্থাশীল। যেই কারনে ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা আশাবাদী ইনশাআল্লাহ আমাদের ছাত্র ছাত্রীদের এবং অভিভাবকদের আশা পূরণে আমরা আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন  করবো।  করোনা ভাইরাসের কারণে যখন ১৮ই  মার্চ থেকে সরকারের নির্দেশে স্কুল-কলেজ বন্ধ হয়ে যায় এই জেলার মধ্যে আমরাই প্রথম আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে অনলাইনের মধ্যমে  পাঠদান কর্মসূচি শুরু করি  এবং এখনও তা আছে। এই অনলাইনের মাধ্যমে আমরা সরাসরি ছেলেমেয়েদের প্রদান করাই এবং পরীক্ষা থেকে শুরু করে সমস্ত তথ্য পরিবেশন থেকে শুরু করে তাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছি। আমরা আশা করি আগামীতে প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করে আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য যা কিছু কর্মসূচি প্রণয়ন করার প্রয়োজন শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য যা কিছু প্রয়োজন আমরা তাই করবো ইনশাআল্লাহ। আমি সকলের কাছে  দোয়া চাই।  আপনারা দোয়া করবেন। আমরা  যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছি তার লক্ষ্য হচ্ছে একমাত্র স্রষ্টার শ্রেষ্ঠ জীব মানুষ তার সবচেয়ে মূল্যবান হচ্ছে তার সন্তান ।সন্তানদেরকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত মানুষ করে গড়ে দিয়ে মহান স্রষ্টার সন্তুষ্টি অর্জন করতে চাই। এই লক্ষ্য যেন পূরণ করতে মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সাহায্য করেন  এই দোয়া সবার কাছে চাই। মহান আল্লাহ তা'আলা আমাদের সকলকে সুস্থ রাখুন ভালো রাখুন এই কামনা করি। ধন্যবাদ । 

 

 

 

সংক্ষিপ্ত জীবন বৃত্তান্ত:  গিয়াসউদ্দিন ইসলামিক মডেল কলেজ এর প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন তদানিন্তন ঢাকা জেলার নারায়ণগঞ্জ মহকুমার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সিদ্ধিরগঞ্জ গ্রামের এক সম্ভান্ত মুসলিম পরিবারে ১৮ই বৈশাখ, মঙ্গলবার ১৩৫৯ বাংলা খ্রিস্টাব্দে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতার নাম- মাে. আবুল হাসেম মিয়া, মাতার নাম- মােসাম্মৎ ইয়াতুন নেছা। তিনি তার পিতা-মাতার চার সন্তানের মধ্যে একমাত্র পুত্র সন্তান। তার পূর্ব পুরুষগণ বংশানুক্রমিকভাবে এখানকার আর বাসিন্দা। তিনি চার পুত্র সন্তানের জনক। শিক্ষা জীবন: প্রাথমিক শিক্ষা জীবন শুরু হয় গৃহশিক্ষক দ্বারা এবং স্থানীয় মসজিদের মত। শুরু হয় কোরআন ও নামায-রােজা শিক্ষা। দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালে করেন সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার সিদ্ধিরগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে (বর্তমান সিদ্ধিরগয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় উত্তর)। ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে সপ্তম শ্রেণি এম.ডব্লিউ, হাইস্কল অষ্টম ও নবম শ্রেণি গোদনাইল হাইস্কুল এবং সর্বশেষ নারায়ণগঞ্জ বার একাডেমি হাইস্কল থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এস.এস.সি. পাস করেন।। তৎকালীন ঢাকা কয়েদ-ই-আজম (বর্তমান সােহরাওয়াদী) কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এইচ.এস.সি পাস করেন। ১৯৭২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লােকপ্রশাসন বিভাগে ভর্তি হন এবং পরবর্তীতে সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে বি.এস.এস, (অনার্স), এম.এস.এস, ডিগ্রি লাভ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকলে তিনি সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন।

 

মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ: ১৯৭১ সালে এইচ.এস.সি. দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র থাকা অবস্থায় মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং যুদ্ধকালীন গ্রুপ কমান্ডার হিসেবে কৃতিত্বের সাথে দায়িত পালন করেন। জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন: ১৯৭৭ সালে (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত অবস্থায়) এবং ১৯৮২ সালে দুইবার সিদ্ধিরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে দায়িত পালন করেন। ১৯৮২ সালে ফতুল্লা থানা উন্নয়ন কমিটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে দুই বছর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৫ সালে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এবং তিনি বাংলাদেশ উপজেলা চেয়ারম্যান পরিষদের প্রথম দুই বছরের জন্য মহাসচিব এবং পরবর্তী দুই বছরের জন্য চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালে অনুষ্ঠিত অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৪ নির্বাচনি এলাকা থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ঐ সময় তিনি মুক্তিযােদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এর স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। রাজনৈতিক জীবন: ১৯৬৬ সালে গোদনাইল হাইস্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়নকালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের একজন সাধারণ সদস্য হিসেবে ছাত্র সংগঠনে যােগদান করেন। বিভিন্ন সময় থেকে তিনি ছাত্র সংগঠন এবং রাজনৈতিক দলের থানা, জেলা এবং জাতীয় পর্যায়ে সাংগঠনিক বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। 

 

জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন: ১৯৭৭ সালে (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত অবস্থায়) এবং ১৯৮২ সালে দুইবার সিদ্ধিরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে দায়িত পালন করেন। ১৯৮২ সালে ফতুল্লা থানা উন্নয়ন কমিটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে দুই বছর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৫ সালে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এবং তিনি বাংলাদেশ উপজেলা চেয়ারম্যান পরিষদের প্রথম দুই বছরের জন্য মহাসচিব এবং পরবর্তী দুই বছরের জন্য চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালে অনুষ্ঠিত অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৪ নির্বাচনি এলাকা থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ঐ সময় তিনি মুক্তিযােদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এর স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

 

 

রাজনৈতিক জীবন: ১৯৬৬ সালে গোদনাইল হাইস্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়নকালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের একজন সাধারণ সদস্য হিসেবে ছাত্র সংগঠনে যােগদান করেন। বিভিন্ন সময় থেকে তিনি ছাত্র সংগঠন এবং রাজনৈতিক দলের থানা, জেলা এবং জাতীয় পর্যায়ে সাংগঠনিক বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

 

সমবায় আন্দোলন: তিনি নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি গঠন করে। প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সমবায় আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে নারায়ণগঞ্জ সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাংক লমিটেড” জাতীয় পর্যায়ের “বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ ইসুরেন্স সােসাইটি লিমিটেড” সহ বেশ কয়েকটি কেন্দ্রীয় এবং জাতীয় পর্যায়ের সমবায় প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

 

প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা ও শিক্ষকতা জীবন; ১৯৬৯ সালে এস.এস.সি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার। পরই তিনি ঐতিহ্যবাহী সিদ্ধিরগঞ্জ প্রগতি সংসদে তার প্রিয় সহকর্মীদের সাথে নিয়ে “সিদ্ধিরগঞ্জ। ববতী মােহন উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে এই স্কুলকে পাইলট প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত। করেন এবং দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত উন্নীত করেন। কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে তিনি এই অলে একাধারে প্রায় ৮/১০ বছর পর্যন্ত খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতা করেন। এছাড়া তিনি ১) সানারপাড় শেখ মর্তুজা আলী উচ্চ বিদ্যালয়, ২) মিজমিজি পাইনাদী বেকমত আলী উচ্চ বিদ্যালয়, ৩) মিজমিজি পশ্চিমপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়, ৪) রওশন আরা। কলেজ প্রতিষ্ঠা লগ্নে একজন উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করেন। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং জাতীয় সংসদ সদস্য থাকাকালীন তিনি প্রায় ১৯/২০টি মাদ্রাসা, স্কুল ও কলেজের ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। উপজেলা চেয়ারম্যান থাকাকালীন তিনিই প্রথম পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা পদ্ধতি চালু করেন।

২০০২ সালে হীরাঝিলে “গিয়াসউদ্দিন ইসলামিক মডেল স্কল”

২০১০ সালে একই স্থানে তিনি “গিয়াসউদ্দিন ইসলামিক মডেল কলেজ”

২০১১ সালে সিদ্ধিরগঞ্জে “খাদিজাতুল কোবরা মহিলা মাদ্রাসা”

২০১৫ সালে সিদ্ধিরগঞ্জে “বীর মুক্তিদ্ধেী গিয়াসউদ্দিন ইসলামিক মডেল স্কুল”

২০১৯ সালে হীরাঝিলে “বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াসউদ্দিন ইসলামিক গার্লস স্কুল”

২০২১ সালে বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াসউদ্দিন ইসলামিক নিউ মডেল মাদরাসা"

২০২২ সালে দেলপাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াসউদ্দিন ইসলামিক মডেল স্কুল"

২০১৯ সালে মৌচাক ২নং ওয়ার্ড “বীর মুক্তিযােদ্ধা গিয়াসউদ্দিন ইসলামিক সিটি স্কুল” প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি তার শ্রদ্ধেয় পিতা-মাতার নামে ২০০২সালে “এম.এ.হাসেম-ইয়াতুন নেছা ফাউন্ডেশন” প্রতিষ্ঠা করে ঐ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে তাঁর দ্বারা প্রতিষ্ঠা করা মাদ্রাসা, স্কুল এবং কলেজ সম্পূর্ণরূপে বেসরকারিভাবে পরিচালনা করে যাচ্ছেন। ভবিষ্যতে গিয়াসউদ্দিন ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং গিয়াসউদ্দিন ইসলামিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করার পরিকল্পনা গ্রহণ করে কাজ করে যাচ্ছেন।

 

 

 

Click On Biography

 

 

                শিক্ষার্থীদের প্রার্থনা                                                                  

হে প্রভু.... হে প্রভু-তুমি আমাদের জ্ঞান বাড়িয়ে দাও...॥

তোমাকে চেনার, তোমাকে জানার

তোমার আদেশ তোমার নিষেধ

মেনে চলার হে প্রভু-ঐ

যে শিক্ষা চরিত্র গঠন করে

যে শিক্ষা মানবিকগুণ বৃদ্ধি করে ॥

সে শিক্ষা দাও- হে প্ৰভু

তুমি আমাদের জ্ঞান বাড়িয়ে দাও... ঐ

যে শিক্ষা সার্বজনীন কল্যাণময়

যে শিক্ষা ইহ-পরকালের কল্যাণ হয়...॥

সে শিক্ষা দাও - হে প্ৰভু

তুমি আমাদের জ্ঞান বাড়িয়ে দাও... ঐ
 

                             

               শিক্ষার্থীদের পণ  

 

রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠবো                                                                                                                   

আল্লাহকে স্মরণ করে বলবো

আলহামদুলিল্লাহ্...॥

কোরআন হাদিস মেনে আমি চলবো

আল্লাহকে মানবো...॥ ॥

পড়া লেখা ভালো করে শিখবো

মাতা পিতার কথা মেনে চলবো.

গুরুজন কে মানবো...॥ ॥

সত্য ন্যায়ের পথ ধরে চলবো

অন্যায়ের প্রতিবাদ করবো

ন্যায় পরায়ণ হবো...॥ ॥

নামাজ শেষে কোরআন হাদিস পড়বো

জ্ঞানের আলো সাথে নিয়ে চলবো

মানুষের সেবা আমি করবো

ভালো মানুষ হবো ॥ ॥

 

 

  ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়া এবং নৈতিক শিক্ষার ক্ষেত্রে
                                                 এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের রয়েছে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য:

 

নিম্নে কিছু বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হলাে: 

 

১। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয় ইহকাল এবং পরকালের কল্যাণের শিক্ষার মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীকে সু-শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তােলার।

২। আধুনিক শিক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় এবং নৈতিকতার শিক্ষা দেওয়া।

৩। কোরআন, হাদিস এবং নামাজ-রােজা শিক্ষার ব্যবস্থা।

৪। অন্যান্য ধমীয় ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য তাদের ধর্মীয় শিক্ষার ব্যবস্থা।

৫। রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত শিক্ষা ব্যবস্থা।

৬। ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলের জন্য শিক্ষা ব্যবস্থা।

৭। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক দিবসগুলােতে ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে নানা প্রকার অনুষ্ঠানমালা।

৮৷ পাঠ্যপুস্তকের পড়ালেখার পাশাপাশি সহপাঠ কার্যক্রমে ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণ ও | প্রতিযােগিতার ব্যবস্থা।

৯৷ বিষয়ভিত্তিক সেমিনার, আলোচনা সভা এবং ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে প্রতিযােগিতার ব্যবস্থা।

১০। পড়ালেখার পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের সেবাশিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সুযােগ।

 

ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবকদের প্রতিপালনীয় কিছু নিয়মাবলি:

 

 

১, ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তি হওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে নির্ধারিত কলেজ ড্রেস, ব্যাজ, মনােগ্রাম এবং আই ডি কার্ড পরিধান করে কলেজে আসতে হয়।

২. ক্লাস চালু হওয়ার নির্ধারিত সময়ের কমপক্ষে ৩০ মিনিট পূর্বে ছাত্র-ছাত্রীদের কলেজে প্রবেশ করতে হয়।

৩. ক্লাস ছুটি হওয়ার পূর্বে কোনাে ছাত্র-ছাত্রী বিনা অনুমতিতে কলেজ ক্যাম্পাস ত্যাগ করতে পারবে না।

৪. ক্লাস বিরতির সময় ক্যাফেটরিয়ায় বাড়ি থেকে আনা অথবা ক্যাফেটরিয়া থেকে খাদ্য ক্রয় করে  খাওয়া যাবে, ক্যাম্পাসের বাইরে যাওয়া যাবে না।

৫. কোনাে ছাত্র-ছাত্রী পূর্বানুমতি ছাড়া একাধারে তিনদিন কলেজে অনুপস্থিত থাকলে। অভিভাবককে অধ্যক্ষের সাথে সাক্ষাত করতে হবে, অন্যথায় ছাত্র-ছাত্রীকে ক্লাস করার সুযােগ | দেওয়া হবে না।

৬. বিনা অনুমতিতে কলেজে অনুপস্থিতির কারণে প্রতিদিনের জন্য নির্ধারিত হারে জরিমানা দিতে হয়।

৭. প্রতিদিনের ক্লাসের পাঠদান কলেজের নির্ধারিত ডায়েরিতে লিখে নিতে হবে এবং দৈনন্দিন | ডায়েরি পর্যবেক্ষণ করে অভিভাবককে নির্ধারিত স্থানে স্বাক্ষর ও তারিখ লিখে দিতে হবে।

৮. ছাত্র-ছাত্রীকে নিয়মিত ক্লাস টেস্ট, মডেল টেস্ট এবং বার্ষিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। এবং উত্তীর্ণ হতে হবে।

৯. ছাত্র-ছাত্রীদের কলেজে অবস্থানকালে ওয়াক্তের নামাজ আদায় করতে হবে৷

১০. ক্লাস টেস্ট, মডেল টেস্ট এবং বার্ষিক পরীক্ষার সিলেবাস শিক্ষাবর্ষের শুরুতে ছাত্র- ছাত্রীদের সরবরাহ করা হয়। এ সিলেবাস অনুযায়ী শ্রীক্ষা গ্রহণ করা হয়।

১১. সরকার অনুমােদিত পাঠ্য বই ছাড়াও অতিরিক্ত ধর্মীয় এবং ইংরেজি বিষযে ছাত্র-   ছাত্রীদের পাঠদান করানাে হয়।

 ১২. পাঠ্য বিষয় ছাড়া ছাত্র-ছাত্রীদের সহপাঠ্যক্রম বিষয়ের মধ্যে পবিত্র কোরআন             তেলাওয়াত, হামদ-নাত, গজল, স্কাউট, গার্লস গাইড, ক্রীড়া, সংস্কৃতি, সাহিত্য,             বিতর্ক প্রতিযােগিতা, অঙ্কন, হস্তলেখা, হাতের কাজ, সেবামূলক কাজ, নাচ-গান           প্রভৃতি বিষয়ের মধ্যে কমপক্ষে তিনটি বিষয়ে অংশগ্রহণ করা বাধ্যতামূলক।

১৩. ধমীয়, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক দিবসের অনুষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণ             করা বাধ্যতামূলক।

১৪. প্রতি বছর অভিভাবকদের নিয়ে দুইদিন অভিভাবক দিবস পালন করা হয়।                  অভিভাবক দিবসের কর্মসূচিতে অভিভাবকের অংশগ্রহণ করতে হয়।

১৬. বার্ষিক মিলাদ, পিকনিক এবং ক্রীড়া প্রতিযোগিতাসহ অন্যান্য অনুষ্ঠানে অভিভাবকদের অঅংশগ্রহণের জন্য আমন্রন জানানো হয়।

17.যে সকল শিক্ষার্থী নামাজ শখেনি তাদের নামাজ শিখানো হয়।

18. ছাত্র ছাত্রীদের কলেজে আসা যাওয়ার সময় ভদ্রতা বজায় রাখতে হবে।

19.বিভিন্ন পরিক্ষার ফি, ডায়েরি,ব্যাজ,আই.ডি কার্ড,মনোগ্রাম প্রভৃতির মূল্য কলেজ কতৃপক্ষ কতৃক নির্ধারিত করা হয়।

20. মাসিক বেতন পরবর্তী মাসের ১০ তারিখের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।১০তারিখের পর প্রতিদিনের জন্য দৈনিক ৫ টাকা হারে জরিমানা সহ মাসিক বেতন প্রদান করতে হবে

21. প্রতিদিন অনুপস্থিতির জন্য ৫০ টাকা হারে জরিমানা প্রদান করতে হবে। আর কলেজ থেকে পলায়ন করলে ৩০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে।

 

 

গিয়াসউদ্দিন ইসলামিক মডেল কলেজের লক্ষ্য হচ্ছে জাতিকে সু-শিক্ষিত, সু-শৃঙ্খল, দক্ষ, নিষ্ঠাবান জনশক্তি উপহার দেয়া। এ লক্ষ্যকে বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে কলেজের প্রত্যেক কারীকে নিম্নলিখিত নিয়ম-শৃঙ্খলা বিধিসমূহ নিষ্ঠার সাথে পালন করতে হয়।

 

 

 

 

শিক্ষার্থীদের আচার-আচরণ: 

 

1.  নজের প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীর নম্র, ভদ্র, শালীন ও আদর্শ ছাত্র সুলভ আচরণ বাঞ্চনীয়। ক্লাসে সময়ে উপস্থিতি ও নীরবতা, পরিচ্ছন্নতা ও শৃঙ্খলা রক্ষা করা একান্তভাবে কাম্য।